রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট উৎসব শেষ হয় বিকাল চারটায়।এখন চলছে গণনা। গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হতে স্বতস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছে রংপুর নগরীর ভোটাররা। কিছু অভিযোগ থাকলেও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই শেষ হয়েছে ভোট।
সবার মুখে একটাই কথা— কে জিতবেন রংপুর সিটিতে? এই সিটির দ্বিতীয় নির্বাচনে সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুই কি থাকবেন মেয়রের চেয়ারে; নাকি সেই ধারায় ছেদ টেনে নগর ভবনে যাবেন অন্য কেউ। সিটির প্রায় ৪ লাখ ভোটারের ভোট সেই কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আলোচনায় রয়েছেন তিনজন। রাতেই জানা যাবে কে হচ্ছেন রংপুর সিটির পরবর্তী নগরপিতা।
এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্ট বের করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যে সুষ্ঠু ও অবাধ হবে কি না তা বড় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।এছাড়া গত রাতে শহীদুল নামে বিএনপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গত রাতে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে।
তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটদানে বিএনপির বাধা দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। সকাল থেকে ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছেন জানিয়ে সিইসি বলেন, ভোটাররা কোনো ধরনের অভিযোগ করেননি।